প্রায় এক শতাব্দী ধরে ব্র্যান্ডিং ব্যবহৃত হয়ে আসছে একজন উৎপাদকের পণ্য থেকে আর একজন উৎপাদকের পণ্য আলাদা করার মাধ্যম হিসেবে।
মূলত ব্র্যান্ড শব্দটি পুরাতন নরস (Norse) শব্দ ব্র্যান্ডর (Brandr) থেকে উদ্ভূত যার অর্থ পোড়াও।
কারণ সেই সময় থেকে গবাদি পশুর মালিকেরা তাদের পশুগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য গবাদি পশুর গায়ে একটি নির্দিষ্ট চিহ্ন এঁকে দিতো। এভাবেই তারা নিজেদের পশুগুলোকে আলাদা করতো এবং পরবর্তীতে এভাবেই গবাদিপশুর ব্র্যান্ড তৈরি হয়।
বর্তমান সময়ে শুধু পশুপালনই নয় বরং সর্বক্ষেত্রে সকল উৎপাদনকারী একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড ব্যবহার করে তাদের পণ্য বা সেবা অন্যদের থেকে আলাদা করার জন্য।
আমেরিকান মারকেটিং অ্যাসোসিয়েশন এর মতে ব্র্যান্ড হলো একটি নাম, পদ, চিহ্ন, প্রতীক বা নকশা, অথবা এই সব গুলোর একটি সংমিশ্রণ, যারা বিক্রেতারা তাদের পণ্য বা সেবা কে চিহ্নিত করতে পারে এবং প্রতিযোগীদের থেকে আলাদাও করতে পারে।
কৌশলগত অর্থে, যখন একজন বিক্রেতা তার নতুন পণ্যের জন্য একটি নতুন নাম ঠিক করে এবং লোগো বা প্রতীক তৈরি করে তখন মূলত সে একটি ব্র্যান্ড তৈরি করল।
যদিও পেশাগতভাবে যারা ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করে তাদের কাছে একটি ব্র্যান্ড অনেক বড় কিছু।
যার সাথে জড়িয়ে রয়েছে পণ্যের এবং বিক্রেতার খ্যাতি বা সুনাম এবং পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের মধ্যে প্রচলিত সচেতনতা এবং ভালোবাসা।